1. [email protected] : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. [email protected] : admi2017 :
  3. [email protected] : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

এক মালানের কাছেই হেরে গেল বাংলাদেশ

  • আপডেট টাইম : বুধবার, ১ মার্চ, ২০২৩
  • ১২৮ বার পঠিত

ক্রীড়া রিপোর্ট : দুর্দান্ত তাসকিন, মুস্তাফিজদের সামনে দাঁড়িয়ে ডেভিড মালানের হার-না-মানা সেঞ্চুরি; আর তাতেই ইংল্যান্ডের ৩ উইকেটের জয়। ফলে ৩ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ১-০’তে এগিয়ে গেল সফরকারীরা। স্বাভাবিকভাবেই ম্যাচ সেরার পুরস্কার উঠে অনবদ্য মালানের হাতে। ২১০ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নেমে মালান একাই করেছেন ১১৪*!
ওয়ানডেতে শান্ত’র মেডেন ফিফটিই বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ। বাকি ব্যাটারদের ব্যর্থতায় সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ২০৯ রানেই গুটিয়ে যায় বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইন। সাকিব, তাইজুল, তাসকিনদের রোমাঞ্চকর বোলিংয়ের জমে উঠেছিল লো-স্কোরিং ম্যাচ। কিন্তু ডেভিড মালান একা হাতে ইংল্যান্ডকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন।

ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৩ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ শুরু হয়েছে। মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক তামিম ইকবাল। লিটন দাসকে সঙ্গে নিয়ে আসেন ওপেনিংয়ে। শুরুটাও হয় দুর্দান্ত।

৩৩ রানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙে লিটনের বিদায়ে। ক্রিস ওকসকে আগের বলে ৮৫ মিটারের ছয় হাঁকিয়ে পরের বলে পড়েন লেগ বিফোরের ফাঁদে। রিভিউ নিয়েও উইকেট বাঁচাতে পারেননি ১৫ বলে ৭ করা লিটন। নিজের প্রিয় পজিশন হারিয়েছেন সাকিব আল হাসান। তিনে নামেন নাজমুল হোসেন শান্ত।

আর্চারকে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে রানের খাতা খুলেন শান্ত। এরপর তামিমকে সঙ্গ দেন দারুণভাবে। পরের ওভারে ওকসকে ব্যাক টু ব্যাক বাউন্ডারি হাঁকান শান্ত। মার্ক উড এসে তুলেন গতির ঝড়। তামিমের অসহায় আত্মসমর্পণ। প্রথম দুই বলে ডট খেলা তামিম পরের ১৪৯ কিলোমিটার পার আওয়ার গতি সামলাতে না পেরে স্টাম্প খুইয়েছেন টাইগার অধিনায়ক। ফেরার আগে ৩২ বল খেলে ৪ বাউন্ডারিতে সাজান ২৩ রানের ইনিংস।

এরপরও উইকেটে আসতে পারেননি সাকিব। চারে ব্যাট করতে এসে মুশফিকুর রহিম রীতিমতো ধুঁকছেন। শেষপর্যন্ত আদিল রশিদের বলে বল আকাশে তুলে হয়েছেন ক্যাচ। ৩৪ বল খেলে ফেলা মুশফিকের ব্যাট থেকে দেখা যায় কেবল ১ ছয়, রান করেছেন মোট ১৭।

উইল জ্যাকসের ওয়ানডে অভিষেকের প্রথম বলেই চার মারেন সাকিব। কিন্তু পাঁচ নম্বরে নেমে ১২ বলে ৮ রানের বেশি করতে পারেননি। মইন আলিকে সুইপ খেলতে যেয়ে হারিয়েছেন মিডল-লেগ স্টাম্প।

টপ অর্ডারের বিপর্যয়ের মাঝে দাঁড়িয়ে ৬৭ বলে ফিফটি পূর্ণ করেন শান্ত। ১৬ ম্যাচের ওয়ানডে ক্যারিয়ে এটিই শান্তর প্রথম ফিফটি। ওডিআই ক্রিকেটে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে হোমে তিন নম্বরে নামা কোনো বাংলাদেশি ব্যাটারের প্রথম ফিফটির মালিক শান্ত।

ফিফটির পর অবশ্য উইকেটে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি শান্ত। আদিল রশিদের বলে শর্ট মিডউইকেটে দুর্দান্ত এক ক্যাচ লুফে নেন জেসন রয়। ৫৮ রানের ইনিংস সাজাতে শান্ত খেলেন ৮২ বল। এরমাঝে বাউন্ডারি হাঁকান ৬টি।

পরের ওভারে মার্ক উড এসে বিদায় করেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে। লেগ স্টাম্পের বাইরের বলে ব্যাট ছুঁয়ে বাটলারের হাতে ক্যাচ হন ৩১ রানে থাকা রিয়াদ। আফিফ হোসেন ধ্রুবকে (৯) ফিরিয়ে উইল জ্যাকস দখলে নেন মেডেন ওডিআই উইকেট। স্কোরবোর্ডে ১৭৫ রান উঠতেই বাংলাদেশ হারিয়ে ফেলে ৭ উইকেট।

জোফরা আর্চারের প্রথম শিকার মেহেদী হাসান মিরাজ। ১৭ বল খেলে বাউন্ডারিবিহীন ৭ রানের ইনিংস আসে মিরাজের ব্যাট থেকে। ১ ছয় ও ১ চারে ১৪ করা তাসকিন ইনসাইড এজে হয়েছেন কিপারের হাতে ক্যাচ। আর্চারের ঝুলিতে যায় দ্বিতীয় উইকেট। তাইজুল ইসলাম ব্যক্তিগত ১০ রানে আউট হন লাস্ট ব্যাটার হিসেবে। শেষপর্যন্ত ২০৯ রানে থামে বাংলাদেশের ইনিংস।

ইংল্যান্ড লক্ষ্য তাড়ায় নেমে ইনিংসের প্রথম ওভারেই হারিয়েছে জেসন রয়কে। সাকিব আল হাসানের করা ওভারের শেষ বলে ক্যাচ নিয়ে রয়কে ফেরান তামিম। নানা গুঞ্জন পেছনে ফেলে দুই বন্ধু মেলালেন হাতে হাত। আরেক ওপেনার ফিল সল্টের স্টাম্প ভাঙেন তাইজুল ইসলাম। ওডিআইতে তাইজুলের দারুণ প্রত্যাবর্তন।

ইনিংস বড় করতে পারেননি জেমস ভিন্স (৬)। তাইজুলের বলে ডাউন দ্য উইকেটে এসে খেলতে গিয়ে হয়েছেন স্টাম্পড। জস বাটলার এদিন ৯ রানের বেশি পাননি। তাসকিন আহমেদ ক্যাচ বানিয়ে ফেরান ইংলিশ অধিনায়ককে।

উইকেটের আসা-যাওয়ার মাঝে দাঁড়িয়ে দেখে-শুনে এগোতে থাকেন তিনে নামা ডেভিড মালান। এরপর তাকে সঙ্গ দেন অভিষিক্ত উইল জ্যাকস। ব্যক্তিগত ২৬ রানে মেহেদী হাসান মিরাজের শিকার হয়ে জ্যাকস ফেরেন প্যাভিলিয়নে, ভাঙে জুটি।

এরপর মইন আলিও থিতু হতে পারেননি। কোটার শেষে বলে ৩২ বলে ১৪ রান করা মইনকে ফিরিয়ে মিরাজ দখলে নেন দুই নম্বর উইকেট। এর আগেই ৯২ বল মোকাবিলায় ৫০ পূর্ণ করেন ডেভিড মালান। ফিফটির পর কিছুটা মারমুখী হয়ে উঠেন মালান।

জয়ের জন্য শেষ ১২ ওভারে ইংল্যান্ডের প্রয়োজন হয় ৫০ রান। দৌড়ে এক স্ট্রাইক চেঞ্জ করতেই তাইজুলের ফাঁদে পড়েন ক্রিস ওকস। ৭ রানে প্যাভিলিয়নে ফেরেন ওকস, ক্রিজে আসেন আদিল রশিদ।

১৩৪ বলে শতরান পূর্ণ করেন ডেভিড মালান। ক্যারিয়ারের ১৬তম ওয়ানডেতে মালানের চতুর্থ সেঞ্চুরি। ইমাম উল হক ও কুইন্টন ডি ককের পর কম ম্যাচ খেলে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের চতুর্থ সেঞ্চুরি পেলেন মালান। আর তাতেই যেন ম্যাচ থেকে রীতিমতো ছিটকে পড়ে স্বাগতিকরা।
মালান শেষপর্যন্ত অপরাজিত থেকে দলের জয় নিশ্চিত করেন। তাকে সঙ্গ দিয়ে আদিল রশিদ করেন ১৭* রান। আর ১১৪ রানের হার-না-মানা ইনিংসে জয়ের নায়ক মালান।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ: ২০৯/১০ (৪৭.২ ওভার) লিটন ৭, তামিম ২৩, মুশফিক ১৭, সাকিব ৮, শান্ত ৫৮, রিয়াদ ৩১, আফিফ ৯, মিরাজ ৭, তাসকিন ১৪, তাইজুল ১০; আর্চার ২/৩৭, ওকস ১/২৮, উড ২/৩৪, আদিল ২/৪৭, জ্যাকস ১/১৮, মইন ২/৩৫

ইংল্যান্ড: ২১২/৭ (৪৮.৪ ওভার) জেসন ৪, সল্ট ১২, মালান ১১৪*, ভিন্স ৬, বাটলার ৯, জ্যাকস ২৬, মইন ১৪, ওকস ৭, আদিল ১৭*; মিরাজ ২/৩৫, তাইজুল ৩/৫৪, সাকিব ১/৪৫, তাসকিন ১/২৬

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..